জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৮ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।
এপর্যন্ত এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৯ জন। গতকাল সাক্ষ্য দিয়েছেন রংপুর মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাজিবুল ইসলাম সহ ৩ জন।
আদালতকে রাজিবুল ইসলাম জানান, তিনিই ময়নাতদন্ত করেন জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের। আবু সাঈদের মৃত্যু হয়েছিল পুলিশের গুলির ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে। তবে এই রিপোর্ট পরপর তিনবার দিলেও তা গ্রহণ করেনি পুলিশ। নানা ভাবে হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করা হয়ে রিপোর্ট বদল করতে। দেয়া হয় সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ট্যুরের প্রলোভনও। এ সময় তারা শেখ হাসিনা,আসাদুজ্জামান খান কামাল,ওবায়দুল কাদেরসহ পুলিশের বিচার দাবি করেন।
গত ২০ আগস্ট ষষ্ঠ দিনে সাক্ষ্য দিয়েছেন চারজন। তারা হলেন— ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, একই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীন, ইবনে সিনা হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাসানুল বান্না ও শহীদ শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদের মা সোনিয়া জামাল। ১৮ আগস্ট পঞ্চম দিনের সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো. এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আউয়াল ও রাজশাহীর প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন।
গত ১৭ আগস্ট চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন— সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ, মিজান মিয়া, শিক্ষার্থী নাঈম শিকদার ও শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগম। ৬ আগস্ট প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রিনা মুর্মু ও সাংবাদিক একেএম মঈনুল হক। ৪ আগস্ট জবানবন্দি দেন পঙ্গু হওয়া শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান ও দিনমজুর চোখ হারানো পারভীন। ৩ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলার সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: আল আমিন সরকার
মোবাইল: +8801676791162
অফিস : 378/6, East Goran, Khilgaon, Dhaka-1219.
ইমেইল : sbservicesltd2025@gmail.com
Design & Development By HosterCube Ltd.