সর্বশেষ :
leadingnews.net এ আপনাকে স্বাগতম।।। নিত্য নতুন খবর সবার আগে পেতে আমাদের সাথে থাকুন।।। ধন্যবাদ।।।
শিরোনাম :
ডাকসু: ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানালেন মিসবাহ-উল-হক দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে ধূমপান, আমার ফুসফুস প্রায় শেষের দিকে: আরশ খান এশিয়া কাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ে বাংলাদেশের মাসুদুর রহমান মুকুল নেপালে ‘জেন-জি রেভোলিউশনে’ উত্তাল পরিস্থিতি, সংসদ ভবনে জনতার হানা, নিহত ১৪ আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডাকসু নির্বাচন: শিক্ষার্থীদের ভোট উৎসব তারেক রহমান কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফিরবেন: ডা. জাহিদ জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত মোদির নেপালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল লক্ষ্মীপুরে আনন্দ পরিবহনের বাস খালে, ৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু চট্টগ্রামে জশনে জুলুছে পদদলিত হয়ে ২ জনের মৃত্যু, আহত অন্তত ১০

মানুষের শরীরের জন্য কোনটি বেশি দরকার, মাছ নাকি মাংস

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩৯ বার পঠিত

মানুষের শরীরের জন্য মাছ এবং মাংস দুটোই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ উভয়ই প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। তবে পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্যগত দিক থেকে দুটোর মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। কোনটি বেশি দরকার, তা নির্ভর করে একজন ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা এবং প্রয়োজনের ওপর।মাছকে সাধারণত মাংসের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর মনে করা হয়। এর প্রধান কারণগুলো হলো:

  • ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: মাছে, বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে (যেমন ইলিশ, টুনা, স্যামন), প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
  • কম চর্বি: মাছের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর চর্বি, বিশেষ করে সম্পৃক্ত চর্বি, তুলনামূলকভাবে কম থাকে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  • ভিটামিন ও খনিজ: মাছে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি২ (রাইবোফ্ল্যাভিন) প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন এবং জিংকের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থও থাকে।

মাংস, বিশেষ করে লাল মাংস (গরু, খাসি), প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের একটি দারুণ উৎস।

  • প্রোটিন: মাংস প্রোটিনের খুব ভালো উৎস, যা পেশি গঠন, টিস্যু মেরামত এবং শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার জন্য অপরিহার্য। কিছু মাংসের প্রোটিনের পরিমাণ মাছের চেয়ে কিছুটা বেশি হতে পারে।
  • আয়রন এবং ভিটামিন বি১২: লাল মাংসে প্রচুর পরিমাণে সহজে শোষণযোগ্য আয়রন থাকে, যা রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও, এতে প্রচুর ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়, যা স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
  • জিংক: মাংস জিংকের ভালো উৎস। জিংক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

কোনটি বেশি দরকার?

কোনো একটিকে অন্যটির থেকে একেবারে সেরা বলা কঠিন। তবে, অধিকাংশ পুষ্টিবিদ মাছকে কিছুটা এগিয়ে রাখেন। বিশেষ করে যারা হৃদরোগের ঝুঁকিতে আছেন বা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য মাছ বেশি উপকারী। কারণ এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ওমেগা-৩ থাকে এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বির পরিমাণ কম থাকে।

অন্যদিকে, যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন বা শরীরের প্রোটিনের চাহিদা দ্রুত পূরণ করতে চান, তাদের জন্য মাংস একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে অতিরিক্ত লাল মাংস খেলে হৃদরোগ এবং কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে, তাই এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

সবচেয়ে ভালো উপায় হলো মাছ এবং মাংস উভয়ই আপনার খাদ্যতালিকায় রাখা। সপ্তাহে ২-৩ দিন মাছ এবং ১-২ দিন মুরগির মাংস খেতে পারেন। লাল মাংস (গরু, খাসি) কম পরিমাণে এবং মাঝে মাঝে খাওয়া ভালো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© 2025 | Leading Media & Communication ltd এর এক‌টি প্রতিষ্ঠান।
Design & Development By HosterCube Ltd.