সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত যুবকরা। এ দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টানা ২২ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
তারা বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় শিক্ষাজীবন অতিক্রম করতে হয়।
করোনাকালীন শিক্ষা ব্যাহত হওয়া, ব্যাকডেট বঞ্চিত, ৩২-এর সুবিধাবঞ্চিত, করোনাপরবর্তী একই দিনে একসঙ্গে ২০-২৫টি নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া, সেশনজট, বিগতও ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৬ বছর শাসন আমলে অনিয়ম, দলীয়করণ, নিয়োগ বাণিজ্য, প্রশ্নফাঁস, কোটা পদ্ধতি প্রক্রিয়ার কারণে অসংখ্য শিক্ষার্থী বয়সসীমার কারণে চাকরির সুযোগ থেকে সরাসরি বঞ্চিত হচ্ছেন।
বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি জেনারেশন (১৯৯০-১৯৯৪) চাকরি প্রত্যাশী যুবসমাজ দীর্ঘদিন ধরে চাকরিতে আবেদনের সুযোগ চাই দাবি জানিয়ে আসছে।
আমরা মনে করি, বয়সসীমা বৃদ্ধি হলে ক্ষতিগ্রস্ত (১৯৯০-১৯৯৪) তরুণদের হতাশা কমবে। মেধার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে। সমাজে বেকারত্ব ও অপরাধ প্রবণতা হ্রাস পাবে। জাতীয় উন্নয়নে ক্ষতিগ্রস্ত তরুণদের অবদান আরও শক্তিশালী হবে।
তারা বলেন, একটি প্রজন্মকে সঠিক সুযোগ না দিলে দেশের অর্থনীতি, সমাজ, উন্নয়ন, নিরাপত্তা-সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানে আমরা (১৯৯০-১৯৯৪) চারটি জেনারেশন ক্ষতিগ্রস্ত। তরুণ প্রজন্মের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে আমরা ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারের কাছে অতিদ্রুত ন্যূনতম ৩ বছর চাকরিতে আবেদন করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তৃতা করেন- আবুল বাশার, শাপলা আক্তার, আবু সায়েম, জুবায়ের হোসেন, অপু ফরহাদ প্রমুখ।