চাঁদপুরে হয়রানি, চাঁদা দাবি, চাকরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এক কলেজ শিক্ষক। মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে জেলার সদর আমলী আদালতে এই মামলাটি করেন ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় সুজিত রায় নন্দী ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন:
- ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ দিলীপ চন্দ্র দাস
- বালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হান্নান মিজি
- ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. সেলিম পাটওয়ারী
- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ড. মীজানুর রহমান
- ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান
মামলার বিবরণে প্রভাষক জাহাঙ্গীর হোসাইন উল্লেখ করেন যে, তিনি ২০১৬ সালে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজে যোগদানের পর থেকেই আসামিরা তার বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তিনি অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতার কারণে সুজিত রায় নন্দী তাকে ভয়ভীতি দেখান এবং কলেজ ছাড়তে চাপ দেন।
তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি “মিথ্যা” মামলাও করা হয়, যেটিতে তিনি পরবর্তীতে খালাস পান। তবে এই মামলার কারণে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করা হয় এবং তিনি তার বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন বলে অভিযোগ করেন। উচ্চ আদালতে রিট করে বেতন-ভাতা পাওয়ার নির্দেশনা পেলেও আসামিদের প্রভাবে তা কার্যকর হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ বাবর বেপারী সাংবাদিকদের জানান, তার মক্কেল সামাজিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সর্বশেষ আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হয়রানি, চাঁদা দাবি, চাকরিতে বাধা সৃষ্টি এবং মারধরের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে