বিগত ৯/৭/২৫ তারিখে (বুধবার) বন্দি কাশেমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর ৩০ সেলে বন্দী মাহমুদ আজহারের কাছে মোবাইল পাওয়ার অজুহাতে তাকে সহ আসাদুল্লাহ এবং মিন্টু প্রধানকে সকাল ৫:৩০-৬:০০ টার মধ্যে কাশিমপুর ১-এর জেলার আবু নুর মোহাম্মদ রেজার নির্দেশে চোখ বেঁধে পেছনে হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে কেস টেবিলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সুবেদার আব্দুল করিম, হাবিলদার লুৎফর, নায়েব কামাল, কয়েদি মহন এবং জাহাঙ্গীর গংদের সম্মিলিত বর্বর নির্যাতনের শিকার হন তারা।
পতিত ফ্যাসিস্টদের দোসর, জেলার আবু রেজার উপস্থিতিতে তারই নির্দেশে কয়েদিরা (মহন ও জাহাঙ্গীর) বন্দী মাহমুদ আজহার, আসাদুল্লাহ ও মিন্টু প্রধানের বুকের ওপর ওঠে এবং আব্দুল করিম (সুবেদার), লুৎফর (হাবিলদার) ও কামাল (নায়েব) তাদেরকে পায়ের তলায় হয়রান না হওয়া পর্যন্ত মোটা লাঠি দিয়ে পেটায়।
অথচ বিগত আওয়ামী আমলের জেল প্রশাসনও বেআইনীভাবে তাদের গায়ে হাত তোলার দুঃসাহস করেনি। এটি ইসলাম বিদ্বেষী আওয়ামী জেলার আবু রেজা’র ইসলামপন্থীদের উপর সম্পূর্ণ পরিকল্পিত অত্যাচার যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়।
কোন বন্দির কাছে ফোন পাওয়া গেলে সেটার জেল কোড অনুযায়ী শাস্তির বিধান আছে, তিন মাস পায়ে বেড়ি পরানো, কিন্তু এভাবে অমানুষিক নির্যাতন করার কোন বিধান নেই। তাছাড়া ফোন পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে বন্দী মাহমুদ আযহারের কাছে অথচ অপর দুই বন্দী আসাদুল্লাহ এবং মিন্টু প্রধানের কাছে ফোন পাওয়া যায় নি এবং তাদের বিরুদ্ধে কোন রিপোর্টও হয়নি, তারপরও তাদেরকে বর্বর নির্যাতন চালানো হয়েছে।তাদেরকে বিনা কারণে নির্যাতনও করা হয়েছে আবার বেড়িও পরানো হয়েছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ।
এই আওয়ামী সিন্ডিকেটের জেলার আবু রেজা শুধু মারপিট করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, সে অশ্লীল গালিগালাজ এবং ইসলাম নিয়ে চরম বাজেভাবে কটূক্তি করেছে।
সে সিরাজগঞ্জ থেকে এখানে পোস্টিং পেয়ে কাশেমপুর ১ এর ভেতরে বন্দী থাকা আওয়ামী লীগের বন্দিদেরকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে– যোগাযোগ করতে দেয়া, বিনোদনের ব্যবস্থা সবই তারা পায়। এককথায় আওয়ামী লীগের বন্দিরা তার কাছে থাকে জামাই আদরে। আর ইসলামপন্থী বন্দীদের উপর চলে বিনা কারণে নির্যাতন আর বৈষম্য।
কারাগারে বন্দিদেরকে মারার কোন বিধান নেই, জেল কোড অনুযায়ী বেড়ি পরিয়েছে কিন্তু তারা বর্বরোচিত মারপিট করলো কেন, আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই। ফ্যাসিস্ট জেলার আবু রেজা সিন্ডিকেটের অপসারণ ও শাস্তি চাই।
নিবেদক: বন্দীদের পরিবারের পক্ষে:
নাসরুল্লাহ
মাহমুদ আজহারের ছেলে
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম. বৈষম্য হীন কারামুক্তি আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শফিকুল ইসলাম. খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ হোসাইন আকন্দ সহ প্রমুখ