সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক হত্যা মামলায় এবং সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ঢাকা, ১৮ই আগস্ট, ২০২৫: বাংলাদেশ সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় এবং সাবেক নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ ঢাকার একটি আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
আনিসুল হকের বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ:
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে রাজধানীর লালবাগ থানায় দায়েরকৃত দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলা দুটি হলো- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ইলেকট্রিশিয়ান শাওন সিকদারকে হত্যা এবং আশরাফুল নামের এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ই আগস্ট নৌপথে পালানোর সময় সদরঘাট এলাকা থেকে আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জে দায়ের হওয়া অন্য একটি হত্যা মামলায় চারদিনের রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হলে লালবাগের দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে সে আবেদন মঞ্জুর করেন।
শাওন সিকদার হত্যা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের ১৯শে জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আজিমপুর এলাকায় শাওন সিকদারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে, একই আন্দোলনের সময় ১৮ই জুলাই আজিমপুর সরকারি কলোনির ভেতরে মিছিলে থাকা আশরাফুলের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে হত্যাচেষ্টা মামলায়, এতে তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
“রাতের ভোট” সংক্রান্ত অভিযোগে হেলালুদ্দীন আহমদ গ্রেপ্তার:
সাবেক ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে অন্যায়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন পরিচালনার অভিযোগে দায়ের করা এক রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ২০১৮ সালের বহুল সমালোচিত নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন, যে নির্বাচনটি “রাতের ভোটের” নির্বাচন হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পায়।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন খান এই মামলার বাদী। মামলায় সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের ধারাও যুক্ত করা হয়। হেলালুদ্দীন আহমদ আগে থেকেই অন্য একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন। আজ তাকে আদালতে হাজির করে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।